হারানো শহরের সন্ধানে

 হারানো শহরের সন্ধানে

হারানো শহরের সন্ধানে

ডক্টর অরণ্য সেনের সারা জীবনের গবেষণা যেন এই একটি প্রাচীন পুঁথিকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছিল। হিমালয়ের এক প্রত্যন্ত মঠ থেকে পাওয়া জীর্ণপ্রায় সেই পুঁথি আর প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলে আসা লোককথাগুলো এক হারানো শহরের ইঙ্গিত দিচ্ছিল – এক শহর যা সময়ের অন্ধকারে ঢাকা পড়েছে, যা প্রকৃতি ও দুর্ভেদ্য রহস্যের আড়ালে আত্মগোপন করে আছে। পুঁথিতে উল্লিখিত সাংকেতিক ভাষা ও চিত্রলিপি পাঠোদ্ধার করে অরণ্য বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন যে, এই শহরটি নিছকই কল্পনা নয়, এর বাস্তব অস্তিত্ব আছে। লোককথা অনুযায়ী, শহরের নাম ছিল 'চন্দ্রপুর', জ্ঞানের এক ভান্ডার যা অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এর নির্মাতারা এটিকে প্রকৃতির কোলে লুকিয়ে রেখেছিলেন

অরণ্য এই অভিযানের জন্য একটি দল গঠন করলেন। দলে ছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদ ও অভিযাত্রী ডক্টর অরণ্য সেন নিজে, যিনি দলের নেতৃত্ব দেবেন এবং পুঁথির রহস্য ব্যাখ্যা করবেন। ছিলেন পুঁথি ও প্রাচীন ভাষার বিশেষজ্ঞ রিনা মুখোপাধ্যায়, যিনি লোককথা ও পুঁথির সংযোগস্থলগুলি খুঁজে বের করতে পারবেন। ছিলেন ভূবিজ্ঞানী ও অভিজ্ঞ অভিযাত্রী বিক্রম সোম, যিনি দুর্গম অঞ্চলের পথঘাট ও প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা মোকাবিলায় সিদ্ধহস্ত। আর ছিলেন অভিযানের প্রধান অর্থদাতা এবং প্রত্নতত্ত্বে আগ্রহী ব্যবসায়ী রোহান মিত্র, যিনি আপাতদৃষ্টিতে এই মহৎ কাজে যুক্ত হলেও তার চোখে ছিল অন্য ঝলক – সম্পদের লোভ। এছাড়াও, দুর্গম পথে রসদ বহন ও পথ দেখানোর জন্য স্থানীয় কয়েকজন অভিজ্ঞ মানুষ, যেমন জিবেশ ও মনোজ, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল

অভিযান শুরু হল দেশের এক দুর্গমতম অঞ্চলে – যেখানে উঁচু পাহাড়ের চূড়া মেঘেদের ছুঁয়েছে, যেখানে গভীর অরণ্যের বুকে সূর্যের আলো পৌঁছায় না এবং যেখানে প্রকৃতির রুদ্ররূপ যেকোনো সময়  জেগে ওঠে। প্রথম কয়েকমাস কেটে গেল দুর্গম পথে হাঁটা, পাহাড় বেয়ে ওঠা, ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পথ করে নেওয়া এবং স্থানীয়দের সাথে সীমিত যোগাযোগের মধ্যে দিয়ে। বিক্রমের অভিজ্ঞতা এবং জিবেশ ও মনোজের স্থানীয় জ্ঞান দলকে অনেকটাই সাহায্য করছিল, কিন্তু প্রকৃতি যেন পদে পদে তাদের পরীক্ষা নিচ্ছিল

একদিন, যখন তারা একটি সংকীর্ণ গিরিখাত পার হচ্ছিল, তখন আকস্মিকভাবে নেমে এল এক ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। আকাশ কালো করে এলো, বিদ্যুতের ঝলকানি আর মেঘের গর্জন যেন পাহাড়গুলোকে কাঁপিয়ে দিচ্ছিল। একটানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পাহাড়ের মাটি আলগা হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎই বিশাল শব্দে পাথরের চাঁই আর মাটির ঢল নেমে এলো – ভয়ংকর ভূমিধস! দলটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল। জিবেশ আর মনোজ অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও তাদের বহন করা রসদের অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেল। বিক্রম পাথরের আঘাতে আহত হলেন। অরণ্য, রিনা আর রোহান কোনোরকমে প্রাণে বাঁচলেন

এই দুর্যোগ দলের মনোবল ভেঙে দিল, কিন্তু অরণ্য হাল ছাড়লেন না। পুঁথিতে ঠিক এই ধরনের প্রাকৃতিক সংকেতের উল্লেখ ছিল, যা শহরটির অবস্থানের কাছাকাছি হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিল। আহত বিক্রমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে, অবশিষ্ট রসদ একত্রিত করে তারা আবার যাত্রা শুরু করল। কিন্তু এই দুর্যোগের চেয়েও ভয়ংকর কিছু অপেক্ষা করছিল

ভূমিধসের পর থেকেই রোহানের আচরণে স্পষ্ট পরিবর্তন দেখা দিল। সে আরও বেশি অস্থির ও উদ্ধত হয়ে উঠল। ঘন ঘন অরণ্যের সাথে তার মতবিরোধ হতে লাগল। রোহান চাইছিল দ্রুত শহরে পৌঁছাতে, তার লক্ষ্য ছিল পরিষ্কার – শহরের গোপন সম্পদ। অরণ্য বোঝানোর চেষ্টা করলেন যে এই অভিযান জ্ঞানের সন্ধানে, কিন্তু রোহান কর্ণপাত করল না। রিনা পুঁথির কিছু নতুন অংশ পাঠোদ্ধার করে জানতে পারলেন যে, শহরটি প্রাকৃতিক উপায়ে সুরক্ষিত থাকার পাশাপাশি এক প্রাচীন শক্তি দ্বারাও রক্ষিত। এই শক্তি শুধুমাত্র তাদের পথ দেবে যারা শুদ্ধ মনে জ্ঞানের সন্ধানে এসেছে, লোভীদের জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ংকর পরিণতি। রিনা এই সতর্কবার্তার কথা রোহানকে জানাতেই সে উপহাস করে উড়িয়ে দিল

একদিন রাতে, যখন বাকিরা ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে, রোহান এক ভয়ংকর বিশ্বাসঘাতকতা করল। সে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো – স্যাটেলাইট ফোন, জিপিএস ডিভাইস, আরোহণের কিছু সরঞ্জাম এবং অবশিষ্ট খাবার ও ঔষধপত্রের এক বড় অংশ – নিয়ে নিঃশব্দে সরে পড়ল। তার ধারণা ছিল, অরণ্য এবং অন্যদের দুর্বল করে দিলে সে একাই শহরে পৌঁছে সবকিছুর দখল নিতে পারবে

সকালে রোহানকে খুঁজে না পেয়ে এবং রসদের অবস্থা দেখে বাকিদের মাথায় বাজ পড়ল। বিক্রম রাগে, দুঃখে ফুঁসতে লাগলেন। জিবেশ ও মনোজের মুখে আতঙ্কের ছাপ। অরণ্য পাথরের মতো স্থির হয়ে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলেন। এখন তাদের কাছে খাবার সীমিত, যোগাযোগের কোনো উপায় নেই এবং পথ অজানা। এই পরিস্থিতিতে ফিরে যাওয়াও কঠিন, কারণ ফিরে যাওয়ার পথও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত। একমাত্র পথ হলো সামনে এগিয়ে যাওয়া, হারানো শহর খুঁজে বের করা। হয়তো সেখানেই তারা রক্ষা পাবে, হয়তো সেখানেই লুকিয়ে আছে বেরিয়ে আসার উপায়

তাদের মনোবল ছিল তলানিতে, কিন্তু অরণ্যের দৃঢ়তা আর রিনার অটল বিশ্বাস তাদের এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করল। বিক্রম আহত পা নিয়েই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পথ চলতে শুরু করলেন। জিবেশ আর মনোজ নিজেদের জীবন বিপন্ন জেনেও দলের সাথে রইলেন। তারা এক দুঃস্বপ্নের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে শুরু করল। খাবার ফুরিয়ে আসছে, শরীর দুর্বল হচ্ছে, পদে পদে বিপদ

আর ঠিক তখনই শুরু হলো অতিপ্রাকৃত ঘটনা। পুঁথিতে বর্ণিত অলৌকিক শক্তি যেন manifest হতে শুরু করল। তারা যখন একটি নির্দিষ্ট উপত্যকার কাছাকাছি পৌঁছাল, তখন চারপাশের বাতাস ভারী হয়ে উঠল। পাহাড়ি ঝর্ণার জল হঠাৎই কালো হয়ে গেল। অরণ্যের কানে ফিসফিস শব্দ ভেসে আসতে লাগল, যা পুঁথির কথাগুলোর প্রতিধ্বনি। রাতে অদ্ভুত আলো দেখতে পেল তারা, যা আকাশে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। দিক নির্ণয়ের সরঞ্জাম কাজ করা বন্ধ করে দিল। রিনা বোঝালেন, এগুলি সবই শহরের রক্ষাকারী শক্তির সংকেত। তারা সঠিক পথেই এগোচ্ছে, কিন্তু সেই শক্তি তাদের পরীক্ষা করছে

সবচেয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা হলো যখন তারা একটি প্রাচীন গুহার সামনে এসে দাঁড়াল। পুঁথিতে এই গুহার উল্লেখ ছিল। গুহার মুখ থেকে এক ঠান্ডা, ভারী বাতাস বেরিয়ে আসছিল। প্রবেশ করতেই ভেতরটা রহস্যময় আলোয় ভরে উঠল। গুহার দেওয়ালে প্রাচীন লিখন আর প্রতীক খোদাই করা ছিল। রিনা সেগুলির পাঠোদ্ধার করতে শুরু করলেন। লেখার অর্থ এতটাই বিভ্রান্তিকর ছিল যে, তাদের মনে হতে লাগল স্থানের ধারণাটাই যেন বদলে যাচ্ছে। গুহার ভেতর পথ হারাতে শুরু করল তারা, শুধু গোল গোল ঘুরতে লাগল। সময় যেন থমকে গিয়েছিল। তাদের মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা ভয়গুলো জীবন্ত হয়ে সামনে আসছিল – দুঃস্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিচ্ছিল

বিক্রমের আহত পা আরও খারাপ হতে শুরু করল। মনোজ ভয় পেয়ে চিৎকার করতে লাগল। অরণ্য বুঝতে পারলেন, এটি এক মানসিক ফাঁদ, যা শহরকে রক্ষাকারী শক্তি তৈরি করেছে। তিনি পুঁথির কথা মনে করার চেষ্টা করলেন। পুঁথিতে লেখা ছিল, এই শক্তি মনকে বিভ্রান্ত করে, কিন্তু যারা সত্যের সন্ধানে অটল থাকে, তাদের সামনে আসল পথ খুলে যায়। অরণ্য রিনা, বিক্রম, জিবেশ আর মনোজকে একত্রিত করে তাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, "আমরা এখানে জ্ঞানের সন্ধানে এসেছি। ভয় পেও না। যা দেখছ, যা শুনছ, তা হয়তো বাস্তব নয়। আমাদের লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে।"

তাদের সম্মিলিত ইচ্ছাশক্তি এবং অরণ্যের নির্দেশনা কাজ দিল। ধীরে ধীরে গুহার আলো স্বাভাবিক হতে শুরু করল, বিভ্রান্তি কেটে গেল। তারা দেখল, গুহার শেষ প্রান্তে একটি সংকীর্ণ পথ নেমে গেছে। সেই পথ ধরে নিচে নেমে তারা পৌঁছাল এক লুকানো উপত্যকায়

সেখানে ছিল 'চন্দ্রপুর'

প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর সময়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা এক অবিশ্বাস্য দৃশ্য। শহরটি সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপ নয়। এর স্থাপত্য ছিল অভূতপূর্ব। পাথরের তৈরি বিশাল বিশাল প্রাসাদ, মন্দির, স্তম্ভ – সবই যেন এক অন্য জগতের সৃষ্টি। শহরটির কেন্দ্রীয় অংশে ছিল একটি বিশাল গোলাকার কাঠামো, যা থেকে এক অদ্ভুত আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছিল। শহরটি দেখে মনে হচ্ছিল যেন সময় এখানে থমকে গেছে

কিন্তু শহরটি সম্পূর্ণ নির্জন ছিল না। তারা দেখল, শহরের কেন্দ্রস্থলের দিকে কয়েকজন মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে একজন ছিল রোহান! তার সাথে ছিল কিছু ভাড়াটে লোক, যারা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। রোহান আগেই এখানে পৌঁছে গিয়েছিল, হয়তো অন্য কোনো পথে, অথবা রক্ষাকারী শক্তি তাকে পথ দিয়েছিল, কিন্তু লালসার টানে সে একা আসেনি, অন্যদেরও নিয়ে এসেছে

অরণ্য বোঝাতে চাইলেন যে, শহরের শক্তি লোভীদের ধ্বংস করে দেবে। কিন্তু রোহান শুনল না। সে তার দল নিয়ে দ্রুত শহরের কেন্দ্রে সেই গোলাকার কাঠামোর দিকে এগিয়ে যেতে লাগল। অরণ্য, রিনা, বিক্রম, জিবেশ ও মনোজ তাদের অনুসরণ করলেন

শহরের কেন্দ্রস্থলে পৌঁছাতেই এক অভাবনীয় ঘটনা ঘটল। গোলাকার কাঠামো থেকে আলো আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠল। বাতাস যেন বিদ্যুতে ভরে গেল। রোহান এবং তার লোকেরা কাঠামোর কাছাকাছি যেতেই শহরের রক্ষাকারী শক্তি জেগে উঠল। মাটি কাঁপতে শুরু করল, প্রাচীন স্তম্ভ থেকে অদ্ভুত শব্দ বের হতে লাগল। রোহান এবং তার দল লোভের বশে কাঠামোর ভেতর প্রবেশ করার চেষ্টা করতেই আলো আরও তীব্র হয়ে উঠল। এক অদৃশ্য শক্তি তাদের উপর আঘাত হানল। তাদের শরীর নিস্তেজ হয়ে গেল, যেন তাদের জীবনশক্তি শুষে নেওয়া হয়েছে। তারা মাটিতে পড়ে গেল, তাদের চোখেমুখে চরম আতঙ্কের ছাপ। রোহানের দল নিথর হয়ে পড়ে রইল

অরণ্য, রিনা, বিক্রম এবং অন্যরা দূরে দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য দেখলেন। রিনা বুঝতে পারল, পুঁথিতে এই ধ্বংসেরই ইঙ্গিত ছিল। শহরটি জ্ঞানকে রক্ষা করে, আর যারা জ্ঞানের অপব্যবহার করতে চায়, লোভের বশে এর কাছে আসে, তাদের এই পরিণতি হয়

আলো ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে এল। শহরের নীরবতা আরও গভীর হলো। অরণ্য, রিনা, বিক্রম, জিবেশ ও মনোজ ধীরে ধীরে কাঠামোর কাছে এগিয়ে গেলেন। পুঁথির শেষ অংশে এই কাঠামোর রহস্যের উল্লেখ ছিল। এটি ছিল শহরের জ্ঞানের ভান্ডার – একটি বিশাল শক্তি উৎস যা প্রাচীন জ্ঞানকে সংরক্ষণ করে রেখেছে

তারা কাঠামোর ভেতর প্রবেশ করল। ভেতরটা ছিল কক্ষপথের মতো অসংখ্য ছোট ছোট প্রকোষ্ঠে বিভক্ত। প্রতিটিতে ছিল স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ ফলক, যেগুলিতে প্রাচীন প্রতীক ও লিখন খোদাই করা ছিল। রিনা বুঝতে পারল, এগুলিই সেই হারানো জ্ঞান – ইতিহাস, বিজ্ঞান, দর্শন, মহাকাশবিদ্যা, যা সভ্যতার শুরু থেকেই এখানে সংরক্ষিত

শহরের রহস্য উন্মোচিত হলো। চন্দ্রপুর ছিল জ্ঞানের এক সিন্দুক, যা লোভী ও ধ্বংসকারীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এটিকে গোপন করা হয়েছিল। এর রক্ষাকারী শক্তি বেছে নেয় কে এর ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে। অরণ্য এবং তার দল শুদ্ধ মনে জ্ঞানের সন্ধানে এসেছিল, তাই তারা রক্ষা পেয়েছে

তারা শহরের জ্ঞানভান্ডার স্পর্শ করল না, কারণ পুঁথি বলেছিল এর নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। তারা শুধুমাত্র এর অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পেরেছিল এবং এর প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করতে পেরেছিল। কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তারা সংগ্রহ করল, যা নিয়ে তারা সভ্য জগতে ফিরে যেতে পারবে

আহত বিক্রম, ক্লান্ত কিন্তু জয়ী অরণ্য ও রিনা, এবং বিশ্বস্ত জিবেশ ও মনোজ মিলে আবার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে সভ্য জগতে ফিরে এলেন। তাদের অভিযান ছিল অসম্ভব কঠিন, কিন্তু তারা সফল হয়েছিল। তারা হারানো শহর চন্দ্রপুরের সন্ধান পেয়েছিল, এর রহস্য উদঘাটন করেছিল এবং জ্ঞানের প্রকৃত মূল্য বুঝতে পেরেছিল। রোহানের পরিণতির কথা মনে রেখে তারা প্রতিজ্ঞা করল, এই শহরের জ্ঞান যেন সঠিক হাতে পৌঁছায় এবং মানবজাতির কল্যাণে ব্যবহৃত হয়। হারানো শহর চন্দ্রপুর আবার প্রকৃতির কোলে তার রহস্য নিয়ে ঘুমিয়ে রইল, পরবর্তী শুদ্ধ মনের অভিযাত্রীর অপেক্ষায়


সকল গল্প পড়তে ক্লিক করুন- বাংলা গল্প

 

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم

Ad

Ad