নক্ষত্রের ডাক
হক সাহেব। একজন সাদামাটা মানুষ। দেখলে বিশ্বাস
করা কঠিন যে এই মানুষটির ভেতরে একটি গোটা মহাবিশ্ব তোলপাড় করছে প্রতিনিয়ত। পেশায় তিনি
একজন স্কুলশিক্ষক। পুরনো স্কুলের জীর্ণ ক্লাসঘরের ধুলোমাখা বেঞ্চি আর চক-ডাস্টারের
গন্ধ ছিল তার নিত্যসঙ্গী। ইংরেজি পড়াতেন। ছাত্রছাত্রীদের কাছে তিনি ছিলেন কিছুটা গম্ভীর
প্রকৃতির, নিয়মানুবর্তী, কিন্তু অসম্ভব প্রিয় একজন শিক্ষক। তার পড়ানোর ধরন ছিল স্পষ্ট
এবং যুক্তিগ্রাহ্য।
কিন্তু শিক্ষকতা ছিল তার পেশা, নেশা ছিল অন্য
কিছু। তার নেশা ছিল কম্পিউটার। আর এই নেশা ছিল রীতিমতো সর্বগ্রাসী। স্কুল থেকে ফিরেই
তিনি বসে পড়তেন তার কম্পিউটারের সামনে। রাতের খাবার হোক বা বন্ধু-বান্ধবের আড্ডা, সবকিছুর
চেয়ে তার কাছে প্রিয় ছিল কম্পিউটারের স্ক্রিনের উজ্জ্বল আলো। পুরনো মডেলের একটি ডেস্কটপ
কম্পিউটার ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। তার ছোট ফ্ল্যাটের একটি ঘর ছিল সম্পূর্ণরূপে এই নেশার
কাছে সমর্পিত। ঘরের মেঝেতে ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ, তারের জঙ্গল, সার্কিট বোর্ড আর অদ্ভুত
সব গ্যাজেট ছড়ানো ছিটানো থাকত। স্ত্রী মাঝে মাঝে বকাবকি করতেন, ছেলেমেয়েরা মুচকি হাসত,
কিন্তু হক সাহেব ছিলেন অবিচল।
তার এই কম্পিউটারপ্রীতি শুধু ইন্টারনেট ব্রাউজিং
বা গেম খেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি ডুবেছিলেন আরো গভীরে। প্রোগ্রামিং, ইলেকট্রনিক্স,
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা – সব বিষয়ে তার ছিল অসীম আগ্রহ। তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা কোড লিখতেন,
জটিল সার্কিট ডিজাইন করতেন, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ জোড়া দিয়ে নতুন কিছু বানানোর চেষ্টা
করতেন। তার স্বপ্ন ছিল বড় কিছু আবিষ্কার করা, এমন কিছু যা মানবজাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
দীর্ঘদিন গবেষণার পর হক সাহেব একটি বিশেষ
প্রকল্পে হাত দিলেন। তিনি মহাকাশ নিয়ে ভীষণ আগ্রহী ছিলেন। তার মনে প্রশ্ন জাগত, আমরা
কি এই মহাবিশ্বে একা? যদি অন্য কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব থাকে, তাদের সাথে কি যোগাযোগ
করা সম্ভব? এই চিন্তা থেকেই তিনি একটি রোবট তৈরির কাজ শুরু করলেন। তবে সেটি সাধারণ
রোবট নয়। তার লক্ষ্য ছিল এমন একটি যন্ত্র তৈরি করা যা মহাজাগতিক সংকেত গ্রহণ করতে এবং
তার বিশ্লেষণ করতে পারবে। একটি জটিল যোগাযোগ ব্যবস্থা, যার মূল উদ্দেশ্য হবে অচেনা,
দূরবর্তী সভ্যতার সাথে সংযোগ স্থাপন করা।
কয়েক বছর নিরলস পরিশ্রম করলেন হক সাহেব। দিনের
বেলা স্কুলের ব্যস্ততা, রাতে গবেষণার কাজ। অনেক রাত কেটেছে না ঘুমিয়ে, বহুবার ব্যর্থ
হয়েছেন, বহুবার নতুন করে শুরু করেছেন। আর্থিক সমস্যার মুখেও পড়েছেন অনেকবার। স্কুল
শিক্ষকের সামান্য বেতনে এত দামি যন্ত্রাংশ কেনা সহজ ছিল না। তবুও তিনি হাল ছাড়েননি।
ধার করেছেন, জমানো টাকা ভাঙিয়েছেন, পুরনো জিনিসপত্র বিক্রি করেছেন – সব করেছেন তার
স্বপ্নের পেছনে।
অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এলো। তার তৈরি যন্ত্রটি
প্রায় প্রস্তুত। এটি দেখতে প্রচলিত রোবটের মতো ছিল না। এটি ছিল বহু অ্যান্টেনা, সেন্সর,
প্রসেসিং ইউনিট এবং একটি উন্নত ডেটা বিশ্লেষণ ব্যবস্থার সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশাল এবং
জটিল কাঠামো। তিনি এটিকে তার ঘরের ছাদের উপর স্থাপন করলেন। তার নাম দিলেন – 'অন্বেষণ'।
২০৪৫ সালের এক শীতের রাত। চারিদিকে নীরবতা।
শুধু অন্বেষণের মৃদু গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। হক সাহেব তার কম্পিউটারের সামনে বসে ছিলেন।
অন্বেষণ মহাকাশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সংকেত গ্রহণ করে বিশ্লেষণ করছিল। এতদিন
পর্যন্ত যা আসছিল, সবই ছিল জানা পালসার, কোয়েসার বা অন্যান্য প্রাকৃতিক উৎস থেকে আসা
সাধারণ মহাজাগতিক শব্দ। হক সাহেব কিছুটা হতাশ হয়ে পড়ছিলেন। এত পরিশ্রম কি তাহলে বৃথা
গেল?
হঠাৎ কম্পিউটারের স্ক্রিনে একটি অচেনা প্যাটার্ন
দেখা দিল। এটি প্রাকৃতিক নয়, কৃত্রিম মনে হচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট ছন্দে আসা সংকেত। হক
সাহেবের হৃদস্পন্দন বেড়ে গেল। তিনি দ্রুত ডেটা বিশ্লেষণ শুরু করলেন। সংকেতটি বহুদূর
থেকে আসছে, গ্যালাক্সিরই অন্য কোনো প্রান্ত থেকে। এটি একটি জটিল গাণিতিক সিরিজ, যা
কোনো প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় তৈরি হওয়া সম্ভব নয়।
উত্তেজিত হয়ে উঠলেন হক সাহেব। তার বছরের পর
বছর ধরে দেখা স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। তিনি অন্বেষণকে সংকেতটির উৎসের দিকে আরও ভালোভাবে
ফোকাস করার নির্দেশ দিলেন। সংকেতটি ক্রমশ স্পষ্ট হতে লাগল। এটি শুধু প্যাটার্ন নয়,
এর মধ্যে তথ্য রয়েছে!
কিন্তু তথ্যগুলো এনকোড করা। বুঝতে হলে এটিকে
ডিকোড করতে হবে। এই কাজটি ছিল আরও কঠিন। হক সাহেব তার প্রোগ্রামিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার
সমস্ত জ্ঞান কাজে লাগালেন। তিনি এমন একটি অ্যালগরিদম তৈরি করার চেষ্টা করলেন যা এই
অচেনা ভাষারীতি বুঝতে পারবে। রাত কেটে দিন হলো, দিন কেটে রাত। খাবার কথা মনে নেই, ঘুমের
কথা মনে নেই। শুধু স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কোড লিখছেন আর ডেটা বিশ্লেষণ করছেন।
কয়েকদিন পর, সামান্য হলেও একটি অগ্রগতি হলো।
সংকেতের মধ্যে কিছু পুনরাবৃত্তিমূলক প্যাটার্ন খুঁজে পেলেন যা সম্ভবত ভাষার মৌলিক একক।
তিনি একটি প্রাথমিক ডিকোড করার ব্যবস্থা তৈরি করলেন। প্রথম যে তথ্যটি তিনি উদ্ধার করতে
পারলেন, সেটি ছিল মহাজাগতিক স্থানাঙ্ক! এটি ছিল একটি নির্দিষ্ট নক্ষত্রমণ্ডলের একটি
গ্রহের অবস্থান।
হক সাহেব বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলেন। তারা শুধু
সংকেত পাঠায়নি, তাদের অবস্থানও জানিয়ে দিয়েছে! এটি একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত, নাকি
অন্য কিছু? তিনি দ্রুত স্কুল থেকে ছুটি নিলেন। তার সমস্ত মনোযোগ এখন অন্বেষণ এবং ভিনগ্রহের
প্রাণীদের প্রেরিত সংকেতের উপর।
এই পর্যায়ে এসে হক সাহেব বুঝতে পারলেন যে
এই বিশাল আবিষ্কারের ব্যাপারটা আর লুকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী। তিনি
প্রথমে তার একজন পুরনো ছাত্র, যে এখন একজন খ্যাতিমান জ্যোতির্বিজ্ঞানী, তাকে ফোন করলেন।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও, তিনি তার ছাত্রকে সব খুলে বললেন।
ছাত্রটি প্রথমে বিশ্বাস করতে পারল না। স্কুলশিক্ষক
হক সাহেব এমন একটি আবিষ্কার করেছেন? সে ভাবল তার শিক্ষক হয়তো বয়স বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের
কারণে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। তবুও, ছাত্রটি হক সাহেবের বাসায় এলো কৌতূহলবশত। অন্বেষণ
যন্ত্রটি দেখে এবং কম্পিউটারের স্ক্রিনে ভেসে ওঠা জটিল ডেটা দেখে সে স্তম্ভিত হয়ে গেল।প্রাথমিক
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাত্রটি নিশ্চিত হলো যে হক সাহেব যা বলছেন, তা সত্যি। এটি কোনো
ভুল সংকেত নয়, এটি অন্য কোনো বুদ্ধিমান সত্তার কাছ থেকে আসা বার্তা।
খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল। প্রথমে বৈজ্ঞানিক
মহলে, তারপর মিডিয়াতে, এবং অবশেষে সারা বিশ্বে। হক সাহেব যিনি এতদিন লোকচক্ষুর আড়ালে
তার ঘরে নিজের জগতে বিভোর ছিলেন, হঠাৎ করে তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত হয়ে উঠলেন। মিডিয়া
তাকে ঘিরে ধরল, বিজ্ঞানী দল তার বাসায় ভিড় জমাল, সরকার থেকে লোক এলো। তার ছোট ফ্ল্যাটটি
রাতারাতি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত হলো।
হক সাহেব অভ্যস্ত নন এই পরিচিতিতে। তিনি কিছুটা
বিব্রত, কিছুটা ভীত, কিন্তু তার ভেতরের বিজ্ঞানীটি ছিলেন ভীষণ উত্তেজিত। তার আবিষ্কার
মানবজাতির ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
এক বিশাল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী দল গঠিত হলো।
হক সাহেব সেই দলে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসবে যোগ দিলেন। অন্বেষণ যন্ত্রটিকে আরও উন্নত
করা হলো, আরও শক্তিশালী রিসিভার বসানো হলো। ভিনগ্রহের প্রাণীদের সংকেত ডিকোড করার কাজ
পুরোদমে শুরু হলো। এটি ছিল একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। তাদের ভাষা, তাদের চিন্তাধারা, তাদের
সংস্কৃতি – সবকিছুই ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভাষাবিদ, গণিতবিদ, বিজ্ঞানী, কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ
- সবাই মিলে চেষ্টা করতে লাগলেন।
হক সাহেবের তৈরি করা প্রাথমিক অ্যালগরিদমটি
ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। সেটিকে ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা আরও উন্নত ডিকোডিং সিস্টেম তৈরি
করলেন। ধীরে ধীরে, ভিনগ্রহের বার্তা স্পষ্ট হতে শুরু করল। বার্তাটি ছিল জ্ঞান এবং সতর্কতা
মিশ্রিত।
তারা জানিয়েছে যে তারা আমাদের চেয়ে বহুগুণে
উন্নত একটি সভ্যতা। তারা জানিয়েছে যে মহাবিশ্ব বিশাল এবং প্রাণের অস্তিত্ব সেখানে বিরল
নয়, তবে বুদ্ধিমান সভ্যতার টিকে থাকা অত্যন্ত কঠিন। তারা কিছু মহাজাগতিক ঘটনা সম্পর্কে
সতর্ক করেছে যা নির্দিষ্ট সময় পর পর বিভিন্ন সৌরজগতকে প্রভাবিত করে। তারা জানিয়েছে
যে এই ঘটনাগুলো থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য উন্নত প্রযুক্তি এবং জ্ঞান প্রয়োজন। এবং তাদের
বার্তা ছিল সেই জ্ঞান বিনিময়ের প্রস্তাব। তারা মানবজাতিকে শেখাতে চেয়েছে কীভাবে সেই
মহাজাগতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায়।
এই জ্ঞান ছিল অবিশ্বাস্য রকমের উন্নত। নতুন
পদার্থবিদ্যা, নতুন শক্তি উৎস, মহাকাশ ভ্রমণের অত্যাধুনিক পদ্ধতি, এমনকি মহাবিশ্বের
গঠন সম্পর্কিত গভীর তত্ত্ব। এই জ্ঞান মানবজাতিকে রাতারাতি শত শত বছর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার
ক্ষমতা রাখে।
কিন্তু এই জ্ঞানের বিনিময়ে তারাও কিছু চেয়েছে।
তারা সরাসরি কিছু চায়নি, তবে তাদের বার্তায় একটি সূক্ষ্ম ইঙ্গিত ছিল। তারা মানবজাতির
নিজস্ব বিবর্তন প্রক্রিয়া এবং প্রকৃতির সাথে তাদের সম্পর্ক পর্যবেক্ষণ করতে আগ্রহী
ছিল। তারা দেখতে চেয়েছিল যে আমরা এই জ্ঞানকে কীভাবে ব্যবহার করি – নিজেদের ধ্বংসের
জন্য, নাকি সম্মিলিত উন্নতির জন্য।
সারা বিশ্বে তোলপাড় শুরু হলো। কেউ কেউ ভিনগ্রহের
প্রাণীদের আগমন নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ল, কেউ কেউ তাদের ত্রাণকর্তা হিসেবে দেখল। বিভিন্ন
দেশের সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা এই জ্ঞানকে কীভাবে ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে বিতর্কে
জড়িয়ে পড়ল। সামরিক ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিল, আবার দারিদ্র্য এবং পরিবেশগত
সমস্যা সমাধানের সুযোগও দেখা গেল।
হক সাহেব এই সব ঝামেলার মধ্যে থেকেও নিজেকে
শান্ত রাখার চেষ্টা করলেন। তিনি জানতেন যে তার আবিষ্কারের দায়িত্ব অনেক। তিনি বিজ্ঞানী
দলের সাথে কাজ করে গেলেন, ভিনগ্রহের ডেটা বিশ্লেষণ করলেন, মানবজাতিকে প্রেরিত জ্ঞান
বোঝাতে সাহায্য করলেন।
সময় গড়িয়ে চলল। ভিনগ্রহের সাথে যোগাযোগ নিয়মিত
হতে লাগল। তারা সরাসরি পৃথিবীতে আসেনি, কিন্তু তাদের প্রেরিত জ্ঞান মানবজাতিকে নতুন
পথে চালিত করল। পরিবেশ দূষণ কমানোর জন্য নতুন প্রযুক্তি, সীমাহীন শক্তির উৎস আবিষ্কার,
এমনকি দুরারোগ্য ব্যাধির নিরাময় – সবকিছু সম্ভব হতে শুরু করল।
হক সাহেব, যিনি ছিলেন একজন সাধারণ স্কুলশিক্ষক,
তিনি হয়ে উঠলেন মানবজাতির ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তিনি কোনো যুদ্ধ করেননি,
কোনো সাম্রাজ্য গড়েননি, কিন্তু তিনি মহাকাশের নীরবতা ভেঙে দিয়েছেন এবং মানবজাতিকে মহাবিশ্বের
অন্যান্য সভ্যতার অস্তিত্ব সম্পর্কে অবগত করেছেন।
তার সেই ছোট ফ্ল্যাটের জীর্ণ ঘরটি আর শুধু
তার গবেষণা কেন্দ্র ছিল না, সেটি হয়ে উঠেছিল দুই সভ্যতার যোগাযোগের প্রথম সেতু। হক
সাহেব অবশ্য নিজের জীবনযাত্রায় বড় কোনো পরিবর্তন আনেননি। তিনি এখনও স্কুল পরিদর্শনে
যান মাঝে মাঝে, পুরনো সহকর্মীদের সাথে কথা বলেন। তার নেশা এখনও কম্পিউটার, তবে এখন
তার গবেষণা আরও বিস্তৃত, আরও গভীর। তিনি জানেন যে ভিনগ্রহের প্রাণীদের সাথে যোগাযোগ
কেবল শুরু, মহাবিশ্ব জানার পথ অনেক লম্বা। আর সেই পথে তিনি, হক সাহেব, একজন সামান্য
স্কুলশিক্ষক, প্রথম কদম রেখেছেন। নক্ষত্রের ডাক তিনি শুনেছেন, এবং সেই ডাকের উত্তর
দেওয়ার জন্য মানবজাতিকে পথ দেখিয়ে দিয়েছেন।
সকল গল্প পড়তে ক্লিক করুন: The World of Story